পৃথিবীর বিখ্যাত কিছু লোগোর লুকানো রহস্য!
পৃথিবীর বিখ্যাত কিছু লোগোর লুকানো রহস্য
লোগো হচ্ছে এক ধরণের গ্রাফিক চিহ্ন অথবা প্রতীকীস্বরুপ। এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের প্রতিষ্ঠানকে জনগণের কাছে পরিচিত করে তোলে। বাইরের সরল সৌন্দর্যের চেয়ে অনেক বেশি কিছু বহন করতেই লোগোগুলো ডিজাইন করা হয়। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে লোগোগুলোর প্রতিটি লাইন, বক্ররেখা এবং রং-য়েরও অর্থ থাকে। একজন পড়তে না জানা মানুষও শুধু লোগো দেখেই বলে দিতে পারে এটি কোনো এক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের লোগো। যেকোনো ব্র্যান্ড পরিচিতি পায় তার লোগোর মাধ্যমে। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি নামকরা লোগোর রয়েছে একটি বিশেষ অন্তর্নিহিত অর্থ। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক পৃথিবীর এমনি কিছু বিখ্যাত লোগো সম্পর্কে যাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে অজানা সব রহস্য।
১. পেপসি
পেপসি কোম্পানি এর নাম শোনেনি এমন লোক খুজে পাওয়া বোধহয় অসম্ভব। গত ১২২ বছরে এই কোম্পানিটি ১১ বার তাদের লোগো পরিবর্তন করেছে। ২০১৪ সালে জুন মাসের ২ তারিখে পেপসি সর্বশেষবার তাদের লোগো পরিবর্তন করে। বিশ্বাস করা কঠিন, কিন্তু পেপসি তার সর্বশেষ লোগোটি তৈরি করতে মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র, ফেং শুই, পিথাগোরাস, ভূতত্ত্ব, আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এবং গোল্ডেন রেশিও এর মতো রহস্যঘেরা এবং গোপনীয় বিষয়গুলোকে পেপসির নতুন লোগো বহন করে। লোগোটির ডিজাইনার ব্যাখ্যা করেছেন যে এই লোগো মোনালিসা, এথেন্সের এথিনী দেবীর মন্দির, এমনকি রেনে দেকার্তেকেও ইঙ্গিত করে। এতসব রহস্যের মাঝে একটি মজার ব্যাপার হল লোগোর লাল, সাদা এবং নীল রঙ আমেরিকার পতাকাকে প্রতিনিধিত্ব করে।
২. কোকা-কোলা
১৩২ বছর পুরনো কোকা-কোলা কোম্পানির লোগোটি রহস্যময় না হলেও বেশ আকর্ষণীয়। বিশ্ববিখ্যাত কোকা-কোলা কোম্পানির লোগো ভালভাবে খেয়াল করলে আপনি দেখবেন যে, এই লোগোর O এবং L অক্ষরের মাঝে রয়েছে ডেনমার্ক এর পতাকা। তবে এই কাজটি ইচ্ছাকৃত ভাবে করা হয়নি, এটি নিতান্তই কাকতালীয় একটি ঘটনা।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ইলেকট্রনিক সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এল জি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিলো ১৯৪৭ সালে। এলজি’র লোগোটি একজন ব্যক্তির মুখের একটি স্টাইলাইজড চিত্র। এখানে L দিয়ে বোঝানো হয়েছে নাক এবং G দিয়ে বোঝানো হয়েছে মুখমন্ডলের প্রতিকৃতি। কোম্পানির মতে, লোগোটি এলজি’র গ্রাহকদের সঙ্গে সাধারণ মানব সম্পর্ক বজায় রাখার উচ্চাকাঙ্খাকে বহন করে। LG এর পূর্ণরূপ হল (LIFE’S GOOD)।
যুক্তরাষ্ট্রের এই বিখ্যাত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয় ১৯৯৪ সালে। প্রথম দেখায়, অ্যামাজন এর লোগোতে বিশেষ কিছু নেই, তা মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। খুবই সাধামাটা হলেও এই প্রতিষ্ঠানের লোগোর মধ্যেই রয়েছে বিশেষ অর্থ। লোগোটিতে একটি কমলা তীর চিহ্ন রয়েছে যেটি এ থেকে জেড অক্ষরকে সংযুক্ত করেছে। এই তীর চিহ্নটি মুলত একটি হাসির চিহ্ন যা ভোক্তার সন্তুষ্টির প্রতীক। আর ঐ হাসিটি A থেকে Z পর্যন্ত দেওয়ার কারণ হচ্ছে আমাজনে আপনার যা কিছু প্রয়োজন সবই রয়েছে। একদম সহজ কথায় বলতে গেলে এ টু জেড!
৫. অ্যাপেল
আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন অ্যাপেল কোম্পানি নিজেদের নাম অন্য কোনো ফলের নাম না রেখে অ্যাপেলই কেনো রাখলো? লোগোটিই বা কীভাবে আসলো? প্রকৃতপক্ষে অ্যাপলের সর্বপ্রথম লোগোটি ছিল স্যার আইজ্যাক নিউটন একটি আপেল গাছের নিচে বসে আছেন। সেই বিখ্যাত আপেল থেকেই অ্যাপল এর লোগো। কিন্তু এরপর অ্যাপেল কোম্পানি একাধিকবার নিজেদের লোগো পরিবর্তন করেছে। সর্বশেষ লোগো তৈরি করার পেছনের গল্প শেয়ার করেছেন লোগোটির ডিজাইনার রব ইয়ানভফ। তিনি বলেন, “আমি এক ব্যাগ ভর্তি আপেল কিনেছি এবং আপেলগুলো একটি বাটিতে রেখেছি এবং একসপ্তাহ ধরে তাদের এঁকেছি, তারপর তার মাঝে থেকে সহজ কিছু বের করে আনার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তেমন কিছু তৈরি করতে পারিনি। নিরীক্ষার অংশ হিসেবেই, আপেলে একটি কামড় (বাইট) বসাই এবং সম্পূর্ণ কাকতালীয়ভাবেআমি অনুভব করি, কামড় (bite) কম্পিউটারের বাইট (byte) এর মতোই শোনাচ্ছে।
৬. অ্যাডিডাস
আজ থেকে ৬৮ বছর আগে ১৯৪৯ সালে অ্যাডিডাস নাম নিয়ে অ্যাডলফ ড্যাজলারের হাত ধরে শুরু হয় কোম্পানির যাত্রা। নিজের নামের দুই অংশ Adolf ও Dassler কে একত্রিত করে তিনি নাম ঠিক করেন Addas। কিন্তু এ নামে আগে থেকেই আরেকটি শিশুদের জুতা তৈরির প্রতিষ্ঠানের নাম নিবন্ধন করা ছিল। তাই শেষ পর্যন্ত তিনি অ্যাডিডাস নামটিকে বেছে নেন।
কোম্পানিটি তাদের লোগো কয়েকবার পরিবর্তন করলেও, এটি সর্বদা তিনটি স্ট্রাইপে অন্তর্ভুক্ত ছিলো। বর্তমান যে লোগোটি রয়েছে সেখানে লোগোতে তিনটি মোটা রেখা মিলে একটি পর্বতের আকার ধারণ করেছে। এই তিনটি মোটা রেখা তিনটি ধাপ নির্দেশ করে। একেকটি ধাপ মানেই একেকটি বাধা জয় করা। এখানে বুঝানো হয়েছে সাফল্যের জন্যে একজন মানুষের যেসব প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করতে হয়, সেগুলোর প্রতীক হলো এই পর্বত।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সকলেই গুগলের সঙ্গে পরিচিত। বর্তমানে গুগলকে ইন্টারনেট এর রাজা বললেও কম হয়। আজ থেকে ১৯ বছর আগে ১৯৯৮ সালে ল্যারি ও তার বন্ধু সার্জি ব্রিন মিলে যাত্রা শুরু করে বর্তমানের সার্চ জায়ান্ট গুগল। তবে ‘গুগোল’ থেকে এসেছে আজকের গুগলের নাম। ইংরেজিতে এর বানান Google। যার মানে হচ্ছে একের পর ১০০টি শূন্য।
গুগলের প্রথম লোগো তৈরি করেন সের্গেই ব্রিন আর এর জন্য তিনি সাহায্য নেন ফ্রি গ্রাফিকস সফটওয়্যার জিআইএমপি’র। সাতবার পরিবর্তন হয় গুগলের লোগোটি। সবশেষ গুগল তার লোগো পরিবর্তন করেছে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর। তবে বিশেষ বিশেষ দিবস উপলক্ষে গুগল তাদের লোগো পাল্টে ফেলে। আর এই পাল্টেফেলা বিশেষ লোগোর নাম ‘ডুডল’। এখন পর্যন্ত গুগল ১৯০০ এর বেশি ডুডল প্রকাশ করেছে। ১৯৯৮ সালের ‘বার্নিং ম্যান ফেস্টিভ্যাল’-এর জন্য প্রথমডুডলটির ডিজাইন করেন গুগলের দুই প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রাইন। তবে বর্তমানে লোগোর ডিজাইন করার জন্য গুগলের একটি বিশেষ টিম রয়েছে, এই টিমের সদস্যদের ডাকা হয় ডুডলার নামে। খুবই সাধারণ চারটি ভিন্ন ধরনের রঙ দিয়েই অক্ষরগুলোকে সাজানো হয়েছে। রঙের এই অবিন্যস্থ অবস্থা দিয়ে গুগল বোঝাতে চায় তার অন্য সকল প্রতিষ্ঠানের মতো বাঁধা ধরা নিয়মে আবদ্ধ থাকতে চায় না।
৮. হুন্দাই
৯. ইউনিলিভার
দক্ষিণ কোরীয় বিজনেস জায়ান্ট হুন্দাই। স্টিল, কনস্ট্রাকশন থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা সব ক্ষেত্রেই তাদের সরব পথচলা। আপাতদৃষ্টিতে লোগোতে সাদামাটা H অক্ষরটি শুধু দৃশ্যমান হলেও বাস্তব কাহিনী ভিন্ন। এই H এর ভেতর লুকিয়ে আছে দুইটি মানুষ, যারা কিনা একজন আরেকজনের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন যা ক্রেতা ও কোম্পানির প্রতিনিধির মেলবন্ধন এর প্রতিক। দুইজনের হ্যন্ডশেকিংয়ের মাধ্যমে এই মেলবন্ধন সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার। খাদ্য, পানীয়, প্রসাধানী থেকে শুরু করে চার শতাধিক ব্র্যান্ডের পণ্য আছে এই ব্রিটিশডাচ কোম্পানিটির। গৃহস্থালীর পণ্যউৎপাদনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান এটি। এই লোগো দেখননি এরকম মানুষ আমাদের দেশে কেনো পৃথিবীতেই কম আছেন। আপাত দৃষ্টিতেতো একটি U দেখা যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এর মধ্যে রহস্যটা কোথায়? আমাদের কাছে এলোমেলো লাগলেও এরভেতরে থাকা ২৫টি আইকনের নকশা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সাজানো হয়েছে।এগুলো ইউনিলিভারের ২৫ ধরনের পণ্য এবং তাদের কোম্পানি ভ্যালুকে তুলে ধরে।আসলে ইউনিলিভার এমন একটি কোম্পানি যা খাবার-দাবাড় থেকে শুরু করে সাবান সবধরনের সেবা ও পণ্যই প্রস্তুত করে থাকে।আর এই সব পন্যই তাদের লোগোর মধ্যে বিভিন্ন চিহ্ন দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে। যেমন- হার্ট দিয়ে Love, Care and Health, পাখি দিয়ে ফ্রিডম ও শার্ট দিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন কাপড় বোঝানো হয়েছে।
জাপানের সুখ্যাত মটর কর্পোরেশন হচ্ছে টয়োটা। ১৯৩৭ সালে স্থাপিত টয়োটার লোগো লক্ষ্য করলে দেখা যাবে তিনটি বৃত্ত যা দিয়ে মূলত তিনটি হার্টকে বোঝানো হয়। তিনটি হার্ট দিয়ে তারা বুঝাতে চেয়েছে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি, পণ্যের গুণগত মান এবং প্রযুক্তির উন্নয়নে টয়োটার অবস্থান। টয়োটার লোগোতে আছে একটি সুতা লাগানো সুঁইয়ের ছবি যা নির্দেশ করে কোম্পানিটির ইতিহাসকে। পূর্বে টয়োটা ছিলো সেলাই মেশিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, আর সুঁই-সুতো দিয়ে সেই ঐতিহ্যকেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। একই সাথে, লোগোটির প্রতিটি অংশ কোম্পানির নামের পুরোটাই প্রদর্শন করে।
১১. ফর্মুলা ওয়ান
ফর্মুলা ওয়ান মানেই গতি, সেই ১৯৫০ সাল থেকে ট্র্যাকে মার্সিডিজ, ফেরারি, হোন্ডা আর রেনো নিয়ে রোমাঞ্চকর গতির ঝড় তুলে যাচ্ছেন লুইস হ্যামিল্টন, জনসন বাটন, জিম ক্লার্করা এবং অবশ্যই দ্যা গ্রেটেস্ট মাইকেল শুমাখার। যদি আপনি সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে ফর্মুলা ওয়ান লোগোর ‘F’ অক্ষর এবং লাল রেখার মধ্যে সাদা অবস্থানে তাকান, তাহলে আপনি সেখানে ‘1’ মুদ্রিত দেখতে পাবেন। আবার, লোগোটির লাল স্ট্রাইপগুলো ফর্মুলা ওয়ান গাড়িগুলোর গতির চিত্রভিত্তিক উপস্থাপন করে।
১২. বিএমডব্লিউ
BMW পৃথিবীর সবচেয়ে নামকরা গাড়ির কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি। প্রায়শই অনুমান করা হয় যে বিএমডব্লিউ লোগোটির কেন্দ্রীয় অংশ বিমানের ঘূর্ণায়মান ব্লেডকে নির্দেশ করে, যা কোম্পানির প্রারম্ভিক ইতিহাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কিন্তু আদতে এটি কেবল বায়ার্নের পতাকার একটি অংশ কারন জার্মানির এখানেই এই কোম্পানিটি তৈরি হয়েছিল।
১৩. বাসকিন রোব্বিনস
আইসক্রিম! আইসক্রিম! ছোট বেলায় যখন টুনটুন করে বেজে উঠতো ঘণ্টা আমরা অনেকেই দৌড়ে যেতাম আইসক্রিমের ছোট গাড়িটির কাছে আর লুফে নেয়ার চেষ্টা করতাম পছন্দের আইসক্রিমটি।
যাইহোক, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা এই বিশ্বে যে এই লোভনীয় খাবারটি একেবারেই পছন্দ করেন না। যদিও আমরা অনেকেই ঠাণ্ডা লাগার ভয়ে আইসক্রিমের লোভ এড়িয়ে চলি এই মজাদার খাবারটি থেকে। কিন্তু আমার অনেক পছন্দের খাবারের তালিকায় এটি অনেক উপরেই আছে।
বর্তমানে আইসক্রিম অত্যন্ত সহজলভ্য একটি খাবার। বিভিন্ন স্বাদের বিভিন্ন ধরনের আইসক্রিম রাজত্ব করছে বিশ্বব্যাপী। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই আছে নিজস্ব নামিদামি ব্র্যান্ড। পাশ্চাত্যের আইসক্রিম কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা হয় মূলত ফ্লেভারের সংখ্যা নিয়ে। হাওয়ার্ড জন্সন যদি তৈরি করে ২৮ রকম, তা হলে বাসকিন রবিন্স তৈরি করবে ৩১ রকম।
বাসকিন রবিন্স আমার পছন্দের একটি আইসক্রিম কোম্পানি। বিখ্যাত আইসক্রিম চেইনশপ বাস্কিন রবিন্স ১৯৪৫ সালে বার্ট বাস্কিন ও আর্ভ রবিন্স প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের মাসের ৩১ দিনেই ৩১ রকম স্বাদের আইসক্রিম সরবরাহের জন্য বিখ্যাত। কেউ যদি বাস্কিন রবিন্সের লোগোর দিকে মনোযোগ দিয়ে তাকায়, তাহলে ইংরেজিতে ৩১ লেখার আবহ খুঁজে পাবেন। ৩১ লেখাটি লোগো থেকে বাদ দিলে ১২ লেখার আবহ খুঁজে পাবেন, যার অর্থ তারা ১২ মাসে ৩১ ফ্লেভারের আইসক্রিম বিক্রি করেন।
প্রতিনিয়ত আমরা অনেক লোগো দেখে থাকি। শুধুমাত্র লোগো দেখেই আমরা কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা সংস্থা সম্পর্কে আঁচ করতে পারি। প্রতিটা লোগোর মাঝে এমন বিশেষ কিছু ভাব ফুটিয়ে তোলা হয় যার মাধ্যমে ঐ লোগোটি একটি ইউনিক বিষয়ে পরিণত হয়।
আরো অনেক লোগো আছে যাদের মধ্যে লুকোনো আছে আরো অনেক কথা, অনেক ইতিহাস। আপনার যদি নতুন কোনো লোগো তৈরির ইতিহাসের গল্প জানা থাকে তাহলে শেয়ার করে ফেলুন আমাদের সাথে। কেননা আমরাও সব সময় অপেক্ষায় থাকি নতুন কিছু শেখার!